কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেয়ায় স্ত্রীকে শা’রীরিক নি’র্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জে’লার উলিপুর উপজে’লার হাতিয়া ইউনিয়নের টারী পাড়া গ্রামে। মৃ’ত এশার অালীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) এর বি’রুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৭/১৮ বছর অাগে মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে একই ইউনিয়নের দিগলহাইলা গ্রামের মোঃ অাবু জাফরের মেয়ে মোছাঃ জাহেনুর বেগম জেমী’র ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতে ঘর সংসার করিয়া অাসা কালেব রফিকুল ২য় বিয়ে করার জন্য ৩ সন্তানের জননী জেমী বেগমের কাছে অনুমতি চেয়ে অনুমতি না পেয়ে শা’রীরিক ও মানষিকভাবে নি’র্যাতন শুরু করে।
বি’ষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিশ করে মীমাংসা করা হয়। সর্বশেষ ২২/০৩/২০২০ইং তারিখে সকাল ৭টার দিকে রফিকুলের বাড়ীতে স্ত্রী জেমি বেগমকে মা’রপিট করে বাড়ীতে অাটক করে রাখে। সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে জেমী বেগমকে উ’দ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উলিপুর উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শা’রীরিক ও মা’নসিক নি’র্যাতনের শি’কার জেমী বেগম জানায়, অামার স্বামী অামাকে দীর্ঘ ৩/৪ মাস ধরে শা’রীরিক নি’র্যাতন করে অাসছে অামার কাছে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না পাওয়ায়। অামার ৩টি সন্তান অাছে। দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য সে অামার কাছে সিগনেচার চায়। অামি সিগনেচার দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে অামাকে গভীর রাতে অামার উপর শা’রীরিক ও মা’নসিক নি’র্যাতন চা’লায়। সর্বশেষ সে অামাকে বলে লা’শ হবি নাকি সিগনেচার দিবি।
এবি’ষয়ে অ’ভিযুক্ত রফিকুল বলেন, এগু’লি সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অাপনারা চেয়ারম্যানের কাছে এ বি’ষয়ে শুনতে পারেন।
এবি’ষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অামি নি’র্যাতনের এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি প্রাথমিকভাবে ত’দন্ত হয়েছে। যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীমাংসার জন্য সময় নিয়েছেন। মীমাংসা না হলে অামরা অাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।